নিজস্ব প্রতিবেদক || যমুনাপ্রবাহ.কম
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভা চলাকালে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ইউপি চেয়ারম্যানসহ অন্তত ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। শনিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার চালা এলাকায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান লাজুক বিশ্বাস, যুবলীগ নেতা ইসমাইল ফকির, রুবেল, শুকুর আলী, শামীম, জাহাঙ্গীর, মনিরুল, রোকন আকন্দ, মজিদ প্রমানিক, লিখন, আ’লীগ নেতা কালাম, হাফিজুর, জুয়েল, রফিকুল, শফিকুলসহ ১৫ জন। আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিতসা দেয়া হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, শনিবার সকালে দলের বর্ধিত সভা চলছিল। সভায় জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত রয়েছেন। বেলা ১১টার দিকে বেলকুচি পৌর মেয়র আশানূর বিশ্বাসের নেতৃত্বে একটি মিছিল বর্ধিত সভাস্থল দলীয় কার্যালয়ের দিকে আসছিল। এ সময় যুবলীগের সদ্যবিলুপ্ত কমিটির আহবায়ক সাজ্জাদুল হক রেজার লোকজন বাঁধা দেয়। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন বলেন তারা দাবী করেছেন।
পৌর মেয়র আশানূর বিশ্বাস বলেন, আমার সমর্থকেরা পার্টি অফিসে আসার চেষ্টা করছিল। এ সময় রেজার নেতৃত্বে তার লোকজন তাদের উপর হামলা চালায়। এতে ইউপি চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান লাজুক বিশ্বাসহ অন্তত ১২/১৩ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
অপরদিকে সাবেক যুবলীগ নেতা সাজ্জাদুল হক রেজা বলেন, সামনে পৌর নির্বাচন। পৌর এলাকায় বর্তমান মেয়র আশানূর বিশ্বাসের কোন সমর্থন নেই। বর্ধিত সভায় গন্ডগোল সৃষ্টি করে আমার নেতাকর্মীদের মামলা-মোকদ্দমায় ফাঁসানোর উদ্দেশ্য নিয়েই আশানূর বিশ্বাস এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের আওয়ামীলীগের দুজন কর্মীকে মারপিট করেছে।
বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, দু’পক্ষের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। তবে পুলিশ তাতক্ষণিক ৬ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।