চৌহালী প্রতিনিধি || যমুনাপ্রবাহ.কম
সিরাজগঞ্জের চৌহালী দক্ষিনাঞ্চলের বাঘুটিয়া ইউনিয়নের বিনানই এলাকায় মরা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রায় তিন মাস ধরে প্রকাশ্যে অবৈধভাব ড্রেজার বসিয়ে বালু ব্যবসা চালাচ্ছে প্রভাবশালী মহল। এতে হুমকির মুখে পড়েছে অসংখ্য বসত-বাড়ি, মসজিদ, কবরস্থান ও ফসলি জমি। স্থানীয়দের অভিযোগে জানা যায়, যমুনার ভাঙনে বিধ্বস্ত চৌহালী উপজেলার অবশিষ্ট অংশকে রাক্ষুসী যমুনার করালগ্রাস থেকে রক্ষায় সবাই যখন এক হয়ে কাজ করছে। ঠিক সে সময় বাঘুটিয়া ইউনিয়নের বিনানই মরা নদীর তলদেশ থেকে স্থানীয় একটি বালু দস্যু চক্রের নেতৃত্বে চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রির মহোতসব।
এদিকে চৌহালী উপজেলার কোথায়ও অনুমোদিত কোনো বালুমহল নেই এবং নদী থেকে বালু উত্তোলনে নেই প্রশাসনের অনুমতিও। তারপরও প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় বাঘুটিয়া ইউনিয়নের বিনানই এলাকার মরা নদী থেকে ড্রেজারসহ দেশীয় পদ্ধতিতে বালু তুলে বিভিন্ন বাসা বাড়ির খাল ভরাট করা হচ্ছে। এছাড়া ট্রাকে করে বালু বিক্রি হচ্ছে। এতে বালু ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে বালু বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে। আর বালু দস্যুদের নিকট থেকে প্রশাসনের কতিপয় ব্যক্তি নিচ্ছে অনৈতিক সুবিধা এমন অভিযোগ তুলেছে এলাকাবাসি। এভাবে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নদী ভাঙনের কবলে পড়ে ঘরবাড়ি হাড়ানোদের নতুন আশ্রয় স্থল আবারও হুমকিতে পরার আশঙ্কা রয়েছে। কয়েক মাস আগে একই স্থানে অবৈধ ভাবে বালু তোলায় ততকালীন ইউএনও দুই বার জরিমানা করা সত্যেও আবারও নতুন করে চলছে রমরমা বালুর ব্যবসা।
ভুক্তভোগী ডিএম হোসাইন (হিটলার) বলেন, দুই বার এই ড্রেজারের মালিককে প্রশাসন থেকে জরিমানা করা সত্যেও বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না। আমার ৫০ শতাংশ জমি থেকে ১৫ শতাংশ ড্রেজারে বালু উত্তোলনের কারনে ভেঙ্গে গেছে।
ভুক্তভোগী মির্জা রোরহান উদ্দিন বলেন, আমার ২০ শতাংশ জমি ভেঙ্গে গেছে এবং এখনও ভাঙ্গন চলমান। আমি ড্রেজার চালাতে নিষেধ করলে আমাকে হুমকি ধামকি দেয়। গত দুই বছর যাবত এই ড্রেজারের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন বরাবর অভিযোগ দিয়েই যাচ্ছি কিন্তু কোন সু-ফল পাচ্ছি না।
এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে ড্রেজারের মালিক মুনছুরের সহযোগী রফিক বলেন, আমি রাজনীতির সাথে জড়িত, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও উপজেলা চেয়ারম্যান বালু উত্তলনের বিষয়ে আমাকে সহযোগীতা করছে। এলাকার জনপ্রতিনিধি সহ সবাই অবগত। এবিষয়ে বাঘুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল কাহহার সিদ্দীকি বলেন, ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তলনের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নাই। এবিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন বলেন, বালু উত্তলনের বিষয়ে আমি অবগত নই, রফিক নিজে বাচার জন্য আমার নাম ব্যবহার করেছে।
এ বিষয়ে চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফসানা ইয়াসমিন জানান, চৌহালীতে কোন ইজারাকৃত বালু মহাল নেই। বিনানই এলাকায় ড্রেজার দিয়ে বালু তোলার বিষয়ে খুব দ্রুতই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আবার চেষ্টা করুন
দেড়যুগ পর উল্লাপাড়া উপজেলা আ.লীগের সম্মেলন শনিবার
নিজস্ব প্রতিবেদক যমুনাপ্রবাহ.কম সিরাজগঞ্জ: দীর্ঘ প্রায় দেড়যুগ পরে শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সিরাজগঞ্জে উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের …