নিজস্ব প্রতিবেদক || যমুনাপ্রবাহ.কম
সিরাজগঞ্জের বাগবাটিতে রাতের আঁধারে ফসলী জমির মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। বাগবাটি ইউনিয়নের কানগাতী এলাকার বেশ কয়েকজন কৃষকের ফসলি জমির মাটি রাত ১২ থেকে সকাল ৯টার মধ্যে কেটে বিক্রি করছে একদল মাটি ব্যবসায়ী।
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছে বাগবাটি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি গোলাম রসুল বক্স এর ভাতিজা কানগাতী গ্রামের বাসিন্দা আল আমিনের নেতৃত্বে চলছে এই মাটির ব্যবসা। এতে করে ওইসব ফসলী জমিতে ফসল উতপাদন নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এদিকে এই মাটি খেকো আল আমিনের হাত থেকে গুচ্ছগ্রাম এবং কৃষি জমি রক্ষায় জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
অভিযোগকারী কয়েকজন কৃষক বলেন, বেশ কিছুুদিন ধরে আল-আমিনের নেতৃত্বে ১০-১২ জন শ্রমিক নিয়োগ করে জমির মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন ১০ থেকে১৫ ট্রাক মাটি বিক্রি করছেন। এসব মাটি রাস্তা ভরাট, বসতঘর নির্মাণসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
সম্প্রতি সরেজমিন দেখা যায়, কানগাতী এলাকায় ১৫ বিঘা ফসলি জমি থেকে মাটি কাটা হচ্ছে। এতে জমির বিভিন্ন স্থানে গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কানগাতী গ্রামের জয়নাল আবেদীন, আবুল কালাম, শহিদুল ইসলাম, আবুল হোসেন, আদুরী রানী, আসমা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, আল আমিন আমাদের জমি থেকে মাটি কেটে নিয়েছেন। আমাদের জমির ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। জমির মধ্যে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে জমিতে কোনো ফসল চাষ করতে পারছেনা। মাটি কাটতে অনেক নিষেধ করা হলেও আল আমিন তা শোনেননি। বাধা দিতে গেলে আল আমিন বাহিনী দিয়ে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে।
জোর করে ভূমিদস্যুরা ওইসব জমির মাটি কেটে বিক্রি করছেন। আমাদের জমি হলেও ভূমিদস্যুরা জমির মাটি কিনে নিয়ে মাটি কাটছে বলে দাবী করছে। কিন্তু আমরা কোন জমির মাটি বিক্রয় করিনি। বাধা দিতে গেলে নানা ধরনের হুমকি ও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
অন্যের জমি থেকে মাটি কাটার অভিযোগ অস্বীকার করে আল আমিন বলেন, ‘যেসব জমি থেকে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে, সেসব জমি আমি কিনে নিয়ে মাটি বিক্রয় করছি। জমির মালিকরা মাটি বিক্রি করেছেন। তাই আমি মটি বিক্রি করছি।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, ‘ফসলি জমির মাটি কাটার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি এবং এর আগেও দুইবার ভ্রামমান আদলতে জরিমানা করা হয়েছে এবং তাদের সর্তক করে দিয়েছি। আবারো তারা মাটি কাটছে জানতে পেরেছি এবং দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।